মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন

কৃষক আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের সমালোচনায় ট্রুডো, ক্ষুব্ধ ভারত

কৃষক আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের সমালোচনায় ট্রুডো, ক্ষুব্ধ ভারত

স্বদেশ ডেস্ক:

ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের কৃষক বিক্ষোভ আর কেবল দেশটির ভিতর সীমাবদ্ধ রইল না। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও মন্তব্য করলেন ভারতের কৃষকদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে। কড়া প্রত্যুত্তর দিয়েছে ভারত। বলা হয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার অধিকার নেই ট্রুডোর।

গত দুই মাস ধরেই ভারতের কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল। মোদি সরকারের তৈরি নতুন তিনটি কৃষক আইন এবং সংশোধনীর বিরুদ্ধে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকদের বড় অংশ আন্দোলন করছিলেন। গত এক সপ্তাহে তা অন্য মাত্রা পেয়েছে। ট্রলি-ট্রাক্টর নিয়ে হাজার হাজার কৃষক দিল্লি কার্যত ঘিরে ফেলেছেন। পাঞ্জাব থেকে দিল্লির সীমান্তে আসার পথে তাদের পার হতে হয়েছে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা। সেখানে কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কৃষকরা যত এগিয়েছেন, ততই তাদের উপর লাঠিচার্জ বেড়েছে। চালানো হচ্ছে কাঁদানে গ্যাস। রাতের অন্ধকারে ক্লান্ত কৃষকদের উপর পানিকামান নিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে।

কৃষকদের সঙ্গে প্রথমে হরিয়ানা এবং পরে দিল্লি পুলিশ যে আচরণ করেছে, তার প্রতিবাদ হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এ বার প্রতিবাদ হলো সুদূর কানাডা থেকে।

উল্লেখ্য, কানাডায় বিপুল পরিমাণ পাঞ্জাবি থাকেন। কানাডার রাজনীতিতেও পাঞ্জাবিদের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ রয়েছে। ফলে পাঞ্জাবের বিষয় সে দেশের সমাজ-রাজনীতিতে আলোচনার বিষয়। গত ৩০ নভেম্বর শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকের জন্মতিথি ছিল। কানাডার সংসদেও সে বিষয়ে আলোচনা হয়। গুরু নানককে সম্মান জানাতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ভারতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, ভারতের পুলিশ কৃষকদের সঙ্গে যে ব্যবহার করছে, তা অন্যায়। যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলনের অধিকার রয়েছে। তা খর্ব করা উচিত নয়। শুধু ট্রুডো নন, কনজারভেটিভ দলের নেতারাও একই কথা বলেছেন।

ট্রুডোই প্রথম আন্তর্জাতিক ব্যক্তি, যিনি ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের এক দিন পরে জবাব দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বিবৃতি দিয়ে জানান, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলার অধিকার কারো নেই। ট্রুডো যে মন্তব্য করেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়। ভারত একটি গণতান্ত্রিক সার্বভৌম দেশ। এ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অধিকার কারো নেই। সূত্র : ডয়চে ভেলে

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877